ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের বিখ্যাত জাত
কঁচি ধুন্দলে পাবেন ঢেঁড়শের স্বাদ ।
লম্বায় ফুট(প্রায়) এই ধুন্দলকে মার্কিনীরা বলে ‘পরীদের লতানো ঢেঁড়শ’যার স্বাদ এমন-যেন ঢেঁড়শ ও স্কোয়াশের সংমিশ্রন । অদূর অতীতে ধুন্দল ছিল জংলী ফসল । বঙ্গভুমিতে ধুন্দলের পূর্ব নাম ছিল তিতাধুমা । গবেষণার ফজলে তিতা আউট হয়ে ধুমা থেকে হয়েছে ধুন্দল । সেদিনের সেই তিতাধুমা অদ্যকার বাজারে ধুন্দল নামে সভ্য-সব্জী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে; খুব বেশী দিন হয়নি । ধুন্দল Cucurbitaceae পরিবারের সব্জী যার বৈজ্ঞানিক পূর্বনাম Luffa cylindrica আর Luffa aegyptiaca বর্তমান নাম ।
ধুন্দল চাষে স্বল্প যত্ন নিলেও চলে । ধুন্দল বড় পাত্রে ছাঁদেও লাগানো সম্ভব । গাছ দ্রুত বেড়ে ১৫ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে । প্রতিটি ফলের ওজন কম-বেশী আধা কেজি । সুস্বাদু এই ধুন্দলের সহিত সাদা মুলা/পালংশাক রান্না সমীচীন নহে কারন সবগুলোই ঠান্ডা সব্জী হেতু শরীরে ঠান্ডা লেগে যেতে পারে । বহির্বিশ্বে সব্জীর চেয়ে ধুন্দলের ছোঁবড়া বেশী বিখ্যাত । আঁশ বা ছোঁবড়ায় ঘষতে মজা শরীর ও বাসন-পত্র; তৈরি হতে পারে খেলনা ও অন্যান্য উপহার সামগ্রী । অন্যান্য কুমড়া জাতীয় সব্জীর তুলনায় এতে ফলের মাছি পোকার আক্রমন প্রবনতা কম । সব্জী-টানেল তৈরীর জন্য উপযুক্ত জাত ।