প্রাচীন কাল থেকেই চীন হলো চালের দেশ । আধুনা হাইব্রিড জাত গুলোর উৎপত্তি চীন থেকেই । এই ধান সেই চীন থেকেই আমদানিকৃত । ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড ও ভারত এখন এই ধানে ধন্য ।আমিষ সমৃদ্ধ সুস্বাদু ভাত ভারতের নিরামিষ ভোজীদের নজর কাড়ছে । বাংলাদেশে বেগুণী চাল সবে পরিচিতি লাভ করছে । পোলাও, রুটি, নুডলস বা পিঠা-পাঁয়েশ ভিত্তিক মিষ্টান্ন তৈরীতে বেশী ব্যবহৃত হয় । এ চালে স্নায়ু ভাল থাকে, আলঝাইমার্স (বার্ধক্যজনিত স্মৃতিভ্রম) মোকাবেলাতে সহায়তা করে ।এর আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে হজমে সহায়তা করে ।
রোগ-পোকা কম । দেড়’শ দিনে পাকে । শীষের সংখ্যা বেশি, শীষ প্রতি প্রায় ২০০-৩০০ ধান হয় । একর প্রতি ফলন কমপক্ষে ২ টন । বেগুণী রঙের কারনে বাজারে চাহিদাও বেশি । এই ধান জৈবিক বা অনুজৈবিক সারে ভালো ফলন দেয় । ধান একটু মোটা-গায়ের রঙ সোনালী । নন-গ্লুটিনাস হালকা সুগন্ধিযুক্ত । চাল বেশ চটচটে ও আঠালো । কত সহজে সুন্দর সিদ্ধ হয় অথচ এই চাল এক সময় নিষিদ্ধ ছিল সর্বসাধারনের জন্য ।