উৎপত্তিস্থল পশ্চিম আফ্রিকা বা পাপুয়া নিউ গিনি বা ভারত । অপরিপক্ক শুঁটি দক্ষিণ ভারতে বাণিজ্যিকভাবে আচারে ব্যবহৃত হয় আর সেখানে বিশেষ করে গোয়ায় খুবই জনপ্রিয় বিধায় ইহা গোয়া সীম নামেও পরিচিত । গাছের আকৃতির ও ফুলের সৌন্দর্যের কারনে অনেকেই বাড়ির সন্মুখভাগে ও ছাঁদে চাষ করে থাকেন ।
গবেষণায় দেখা গেছে যে ইহার ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়ামের মিশ্রণ ডায়াবেটিসের সূত্রপাত প্রতিরোধে একসাথে কাজ করে । ইহা ফোলেটের ব্যতিক্রমী উৎস যা গর্ভাবস্থায়ও উপকারী । এই সীম মাইগ্রেন জনিত মাথাব্যথা কমাতে ও রক্তের উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে । গুটিবসন্তের একটি কার্যকর প্রতিকার এবং ভার্টিগো নিরাময়েরও রিপোর্ট রয়েছে ।
জুলাই-সেপ্টেম্বর এই সীম বপনের উপযুক্ত সময় । ৭ দিনে গজায় ৭ সপ্তাহে ফুল আসে । চারা ১ ফুট লম্বা হলে আগা ভেঙে দিলে শাখা-প্রশাখা বেড়ে ফুল-ফল বেশি দেয় । ফুল থেকে এই সিম প্রতিদিন প্রায় ১ সেমি করে বাড়ে । ১৫ দিনে ১৫ সেন্টিমিটারে শুঁটি ভোজ্যতার পূর্ণ দৈর্ঘ্যে পৌঁছায় । না তুললে তিন সপ্তাহে আঁশ হয়ে যায় । অনুর্বর মাটি ও ঘন বপনেও গাছ বাড়তে থাকে । খুব কম বা কোন সার প্রয়োজন হয় না । স্বল্প সময়ের খরাকে মিটমাট করে চলতে পারে । ৩-৫ মাস পর্যন্ত সীম সংগ্রহ করা যায় । গাছ প্রতি ৫০ টি আর শতকপ্রতি ১০০ কেজি কামরাঙা সীম পাওয়া সম্ভব ।